শ্রমিক ভাতা ফিঙ্গার প্রিন্টে, মিলছে সুফল
৪০ দিনের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত
শ্রমিকদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে এক অভিনব পদ্ধতি
চালু করেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসন। টাকা তুলতে চালু করা হয়েছে ফিঙ্গার
প্রিন্টের পদ্ধতি। স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে স্থানীয় শ্রমিকরা ফিঙ্গার প্রিন্ট
দিয়ে নিজেরাই টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ থেকে এভাবে টাকা দেওয়া শুরু হয়।
এতে ব্যাংক থেকে টাকা তোলা নিয়ে যে অনিয়ম ছিল তা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। কর্মসৃজনে
যুক্ত শ্রমিকরা এ নিয়মে খুশি। সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ
হাফিজুর রহমান পুরো বিষয়টি পরিকল্পনায় এনে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। এতে আশাতীত
সুফলও মিলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সরকার অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের
কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। শ্রমিকদের কাছ থেকে চেক নিয়ে একটি চক্র ব্যাংক
থেকে টাকা তুলে নিত। এরপর নামমাত্র টাকা হাতে তুলে দিত শ্রমিকদের হাতে। আবার অনেক
সময় শ্রমিকরা কোনো টাকাই পেত না। দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই এ অভিযোগ এখন
হরহামেশা শোনা যায়। অনেক সময় শ্রমিকরা টাকা না পেয়ে বিক্ষোভও করে। জানা গেছে, ৪০
দিনের কর্মসূচির এমন দুনীতি ঠেকাতে কঠিন পদক্ষেপ নেন বর্তমান ময়মনসিংহের জেলা
প্রশাসক মিজানুর রহমান। তার পদক্ষেপের কারণে অনেক এলাকাতেই এ কর্মসূচি নিয়ে দুনীতি
কমেছে। তবে দুর্নীতি বন্ধে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি ব্যাংকে গিয়ে চেকের পরিবর্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ব্যাংক
থেকে টাকা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করেন। এ পদ্ধতিতে গত কয়েক দিনে সদর উপজেলার মোট ৪টি
ইউনিয়নে কর্মসৃজনের শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো চরনিলক্ষীয়া,
চরঈশ্বরদিয়া, সিরতা ও ভাবখালী। এসব ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার শ্রমিক কোনো হয়রানি
ছাড়াই টাকা তুলেছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ফিঙ্গার
প্রিন্টের পদ্ধতি শতভাগ স্বচ্ছ। এতে শ্রমিকদের হয়রানি বা টাকা কম পাওয়ার সুযোগ
নেই। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন. এ পদ্ধতি
শ্রমিকদের কল্যাণে এসেছে। সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, ফিঙ্গার
প্রিন্ট পদ্ধতিতে দুর্নীতির সুযোগ নেই। তার এলাকার শ্রমিকরা খুশি। [উৎসঃ কালের কন্ঠ]
কোন মন্তব্য নেই